জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলের বন্দরনগরী কোবে ও আওয়াজি দ্বীপের মধ্যে সংযোগ তৈরির জন্য চমৎকারভাবে নির্মিত এ সেতুর কেন্দ্রীয় স্প্যানটি রেকর্ড ১,৯৯১ মিটার লম্বা।
জাপানের নিজস্ব কৌশল এবং নব বিকশিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা এ সেতুর মোট ব্যাপ্তি লম্বায় ৩,৯১১ মিটার।
সেতুটির যথাযথ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য গবেষণা করে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়। যার একটি হলো সেতুর মূল তারগুলোকে ক্ষয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষায় ‘ড্রাই এয়ার ইনজেকশন সিস্টেম’ ব্যবহার। এ ব্যবস্থায় মূল তারগুলোর ভেতরের আর্দ্রতা অপরিবর্তীত রাখার জন্য শুষ্ক বাতাস প্রবেশ করানো হয়। এটি এক যুগান্তকারী ধারণা, কারণ এতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম পড়ে।
সেতুটির নির্মাণকারী জাপানি প্রতিষ্ঠান হনশু-শিকুকো ব্রিজ এক্সেপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিডেট তাদের কারিগরি ও প্রকৌশলগত বিশেষ জ্ঞান বাংলাদেশের সাথে বিনিময় করতে আগ্রহী।
আকাশি-কাইকো ব্রিজ পরিদর্শনে প্রদর্শক হিসেবে থাকা হনশু-শিকুকো ব্রিজ এক্সেপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিডেটের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা হয়তো আমাদের অভিজ্ঞতা, কলাকৌশল ও প্রকৌশলীদের ব্যবহার করে নকশা তৈরি, নির্মাণ, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু কারিগরিগত সহায়তা দিতে পারব।’
আপনি যদি সেতুটিতে প্রদর্শকদের সাথে পরিদর্শনে যান তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটার উঁচুতে থাকা ব্রিজ টাওয়ার থেকে উপভোগ করতে পারবেন মনমুগ্ধকর দৃশ্য। সেই সাথে সেতুটির ভেতরে যেতে পারবেন।
হনশু-শিকুকো ব্রিজ প্রকল্পগুলোর একটি হিসেবে এ সেতুটি নির্মিত। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৮ সালের মে মাসে এবং শেষ হয় দীর্ঘ ১০ বছর পর ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে।
এ সেতু পৃথক অঞ্চলের মধ্যে পরিবহনের সুযোগ এনে দিয়েছে, এবং তা দেশের ভূমি ও অর্থনীতির সুষম উন্নয়নে অবদান রাখছে।
‘১৯৮৮ সাল থেকে হনশু-শিকুকো ব্রিজগুলোর সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রভাব ৪১ ট্রিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের মতো,’ ইউএনবিকে বলেন হনশু-শিকুকো ব্রিজ এক্সেপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা। সেই সাথে তিনি জানান, শিকুকো অঞ্চলে আয় বৃদ্ধির অনুপাত ৬ শতাংশের মতো, যা টোকিও থেকেও বেশি।